এই তীব্র গরমে কী কী রোগ হয়? কিভাবে পতিরোধ করবেন
![]() |
collected |
রোদ ও তাপপ্রবাহ থেকে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্যসমস্যা। এ পরিস্থিতিতে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজন ছাড়া এই গরমে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা এবং পানির বোতল রাখতে বলছেন তারা।
গরমে মারাত্মক কিছু রোগ হতে পারে। যেমন- হিট র্যাশ, হিট স্ট্রোক, অ্যাজমা এবং শরীরে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, সর্দি বা কাশি, পানিশূন্যতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময় সুস্থ থাকতে নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখুন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি বিশেষ পানীয় হিসেবে বেছে নিতে পারেন আমের শরবত, ডাবের জল, ছাতু শরবত ও বেলের শরবত।
গরমে কি কি রোগ হতে পারে এবং এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা কি?
হিট স্ট্রোক: প্রচণ্ড গরমে অনেকই হিট স্ট্রোক করে। এ অবস্থায় ডাবের পানি, লাউ-পেঁপের পাতলা ঝোল, করলা, তরমুজ, এই খাবারগুলো খান। এতে শরীরে দীর্ঘ সময় পানি মজুত থাকে। এছাড়াও হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত ঠান্ডা জায়গাতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যান। চোখে, মুখে এবং ঘাড়ে পানি দিন। পানি পান করুন। অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঠান্ডা, সর্দি, কাশি: অতিরিক্ত গরম বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে অনেকেই ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলাব্যথার মত রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ টক ফল ও সবজি যেমন কমলা, আনারস, পেয়ারা, ক্যাপসিকাম খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও গরম স্যুপ, গ্রিন টি, তুলসী চা, আদা চা বা যেকোনো হারবাল চা সর্দি, কাশি, গলাব্যথা নিরাময়ে কার্যকর।
প্রস্রাবের সংক্রমণ: গ্রীষ্মের প্রখর রোদে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে প্রস্রাবের সংক্রমণ দেখা দেয়। এই সমস্যায় অ্যাসিডিক বা টক ফল কম খেতে হবে। দারুচিনি, রসুন, মধুর মত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল খাবার খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
পেটের সমস্যা: গরমে প্রায় মানুষেরই পেট খারাপ বা বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অনেকেই গরমে অস্থির হয়ে রাস্তায় খোলা পরিবেশে বানানো আখের রস, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, অ্যালোভেরার জুস, চিনি দেওয়া বিভিন্ন ফলের রস খান। এতে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, আমাশয়, বদহজমের মত অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যেকোনও পেটের সমস্যায় ডাবের পানি, টক দই, আপেল, কাঁচা কলা, পেঁপে, আদা, জিরে জল, তুলসি চা, ইশবগুলের ভুসি, ওটস, মধু ও লাল খাবার ভালো কাজ করে। এছাড়া ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, শসা, পটল ইত্যাদি গ্রীষ্মের সবজি পেটের সমস্যায় বেশ উপকারী। এছাড়া গরমের সময় খাবার নষ্ট হয়ে যায়, যা খেলে হতে পারে ফুডপয়জনিং বা বিষক্রিয়া। তাই পচা-বাসি খাবার, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, লেবুর শরবত, আখের রস এসব না খাওয়াই ভালো।
সানবার্ন: এটি গরমের সাধারণ সমস্যা। তীব্র গরমে ত্বকে রোদে পোড়া লালভাব, ফোসকা এবং ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এটি প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকূন। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন লাগান এবং সম্ভব হলে উন্মুক্ত ত্বক ঢেকে দিন। অতিরিক্ত মসলা, তেল, ভাজা, রাস্তার খোলা খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও চর্বিযুক্ত খাবার, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
Post a Comment